প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর অর্থবহ পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যর্থতাকে 'দুঃখজনক' হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক্ষেত্রে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলো জোরালো বক্তব্য রাখলেও পরিস্থিতির গুরুত্বের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সঙ্গতিপূর্ণ নয়।'
'অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার মতে, ওই বছর বেসরকারি মাধ্যমসহ ৮৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে, নভেম্বরে মিশরে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনটি সবচেয়ে বড় যে সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে, তা হলো— ধনী দেশগুলোকে অভিযোজন ও প্রশমন ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির জন্যও অর্থ দিতে হবে কিনা। এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই যে, তহবিলটির আরও বৃদ্ধি হোক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা উন্নত দেশগুলার কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি না। এএফপি জানিয়েছে যে, ধনী দেশগুলো ২০২৪ সাল পর্যন্ত শুধু ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মত হয়েছে। এ বছর ইউএনজিএ জলবায়ু সুবিচারের জন্য বারংবার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া ছোট দেশ ভানুয়াতুর নেতা জীবাশ্ম জ্বালানির বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যে ধরনের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ প্লাবিত হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও একই ধরনের ভয়াবহ বন্যা হতে পারে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন।'
রোহিঙ্গা প্রশ্নে
'এএফপি মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশ পশ্চিমের যে নিষ্ক্রিয়তা দেখছে, তাতে জলবায়ুই একমাত্র ইস্যু নয়, রোহিঙ্গা সংকট আরেকটি বড় সমস্যা। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে ধনী দেশগুলোর মনোযোগ সরে গেছে।
জলবায়ু ইস্যু, ধনী দেশগুলোর অবদান 'দুঃখজনক' : প্রধানমন্ত্রী
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেশী মিয়ানমারে ২০১৭ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্মম অভিযানের কারণে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, এ অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছিল।'
'রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের বেশির ভাগই মুসলিম, বাস করছে ত্রিপল, টিন ও বাঁশের তৈরি ছাউনি ঘরে। ব্যাচেলেট তার সফরকালে বলেছিলেন, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেনাশাসিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কোনো সম্ভাবনা নেই, যেখানে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। কিন্তু সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আভাস দেন, ক্যাম্পে বসবাসের বাইরে রোহিঙ্গাদের অল্পকিছু বিকল্প আছে। তিনি বলেন, তাদের খোলা জায়গা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ তা তাদের নিজের দেশেই রয়েছে। তারা সেখানে ফিরে যেতে চায়। আর এটাই সবার মূল অগ্রাধিকার। কেউ যদি তাদের নিতে চায়, তারা নিতে পারে— এ কথাও যোগ করেন তিনি।'